কুবির বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতি অনাস্থা, পাল্টা কমিটি গঠন

কুবি প্রতিনিধি :

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশ লালনকারী শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে ৫ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কমিটি দেওয়া হয়।এতে বিশ্বিবদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. জি. এম. মনিরুজ্জামান ও একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস উল ইসলামকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের ব্যানারে এ কমিটি দেওয়া হয়। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ ধরনের কোনো কমিটি গঠনের সুযোগ নেই এমন দাবি করে এ কমিটির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন পুরানো কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
নতুন ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অর্থ সচিব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, সদস্য বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব ও ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রগতিশীল চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের ব্যানারে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্তমানে বঙ্গবন্ধু পরিষদের কার্যনির্বাহী পরিষদের কোনো অস্তিত্ব নেই ও পরিষদের কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় অনিবার্য এবং সঙ্গত কারণে বিলুপ্ত কার্যনির্বাহী কমিটির বিরুদ্ধে সাধারণ সদস্যদের বিরূপ ধারণার সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় গত ৪ ডিসেম্বর পরিষদের সাধারণ সদস্যদের এক বিশেষ সাধারণ সভায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের সব কার্যক্রমের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করে আহ্বায়ক কমিটি গঠনের বিষয়ে মতামত প্রদান করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পরিষদের গঠনতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কার্যনির্বাহী পরিষদের ব্যানারকে ব্যবহার করে তৎকালীন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হীনস্বার্থে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্যাড ব্যবহার করে নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে দ্বিধা বিভক্তির রাজনীতি ও ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করছেন।
এ বিষয়ে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জিয়া উদ্দিন বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থাকলে এ ধরনের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সুযোগ নেই। আর করতে হলেও তা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক করবে। এখানে যে কমিটি হয়েছে তাকে আমরা স্বীকৃতি দিচ্ছি না, আর কেউ গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করলে কোন কাজ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আগেও এমন কমিটি করা হয়েছে এ দাবি করে তিনি আরও বলেন এদের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই। আগে যেটা গঠন করা হয়েছিল এটাও তাদের কমিটি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী ওমর সিদ্দিকীকে সভাপতি এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জিয়া উদ্দিনকে সাধরণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!